নিজে নিজে অনলাইন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন
বর্তমান সময়ে অনলাইন আমাদের সকল কাজের বন্ধু। আমরা সারাদিন অনলাইনে থাকি এবং অনলাইনে আমাদের দিনরাত চলে। অনলাইনে কেনাকাটার থেকে শুরু করে সকল প্রকার কাজ আমরা করতে পারি। এই করুনা ভাইরাসের কারণে আমরা লকডাউন নামক একটি বাক্সের মধ্যে বন্দি হয়ে আছি। বাইরে বের হতে পারিনা করোনা সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে। তাই আমাদের বিশেষ বন্ধু হিসেবে অনলাইনে আমাদের সকল প্রকার সার্ভিস দিয়ে আসছে। এছাড়া আমাদের শহর গুলোতে যানজট বেশি সময় থাকার কারণে অনেকে ঘর থেকে বাহির হতে ইচ্ছুক নয়। তাই আমরা অনলাইন থেকে কেনাকাটা থেকে শুরু করে আবার পর্যন্ত অনলাইনে অর্ডার করি।
একটি বিশেষ কাজ যা আমরা সময় বাঁচানোর জন্য অনলাইনে করতে পারি। সেটি হল আমাদের আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল প্রকার কাজ আমরা এখন অনলাইনে করতে পারি। আগের সময়ের মতো ইউনিয়ন অফিস গিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করতে হয় না। আমাদের আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাবার সুব্যবস্থা করে দিয়েছে অনলাইন। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা কিভাবে আমরা আইডি কার্ড অনলাইন থেকে তুলব? আমাদের আইডি কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করব? আইডি কার্ডের বিভিন্ন ভুলত্রুটি কিভাবে সংশোধন করব?
যে সময় আমরা ইউনিয়ন অফিসে যেতে পারিনা করোনা সংক্রমনের কারণে। অনেকের মধ্যেই এইসব প্রশ্ন আসতে পারে এবং অনেকেরই বিশেষ প্রয়োজন হতে পারে। তাই আমি আজকে অনলাইনে কিভাবে নিজে নিজে আইডি কার্ড সংগ্রহ করবেন, ভুল ত্রুটি সংশোধন করবেন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করব।
এইসব বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে জানতে আপনার প্রয়োজন একটু ধৈর্য ধরে আমার সম্পূর্ণ ব্লগ টি পড়তে হবে।
আইডি কার্ডের সকল কাজের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইটে কিভাবে লগইন করবেন?
অনলাইনে আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের যেকোনো প্রকার কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে। আর আইডি কার্ড সংক্রান্ত যে কোন কাজ করতে গেলে আপনাকে প্রথমে এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
- সবার প্রথমে আপনাকে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এখানে ক্লিক করে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে যাবার পর আইডি কার্ড সম্পর্কিত আপনি সকল প্রকার কাজ করতে পারবেন। প্রথমে আপনি রেজিস্ট্রেশন এ ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
- এখন আপনি দেখতে পারবেন এখানে কিছু লেখা আছে আপনি ভালভাবে লেখাগুলো পড়ে নেবেন। যাতে আপনার আইডি কার্ড সংক্রান্ত কাজ করতে কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে না হয়। তাই আগে থেকেই সতর্ক ভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
- এখন আপনি দেখতে পারবেন আপনার সামনে জাতীয় পরিচয় পত্র ফরম নম্বর লেখার জন্য একটি বক্স এসেছে। তার নিচে দেখতে পারবেন জন্ম তারিখ লেখার জন্য তিন, মাস ও বছর এর জন্য তিনটি বক্স এসেছে। প্রথম বক্সটিতে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার টা পাঠিয়ে দেবেন।
- অনেকে আবার বলতে পারেন যে আমারতো আইডি কার্ড নেই এখন আমি কি করব? ডানপাশে কিছু লেখা আছে যা আপনি পড়লেই সবকিছু বুঝতে পারবেন। আপনার যদি আইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না।
- তারপরে আপনার আইডি কার্ড অনুযায়ী সঠিক জন্ম তারিখটি দিয়ে দেবেন। তারপরে দেখবেন একটি ক্যাপচা আপনাকে পরীক্ষামূলক ভাবে দেওয়া হবে। যেখানে হিজিবিজি কোন কিছু লেখা থাকবে আপনি সেটি ভালোভাবেই বোঝে নিচের খালি বক্সটিতে বসিয়ে দিয়ে “ সাবমিট” বাটনে ক্লিক করবেন।
- সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার আইডি কার্ড সংক্রান্ত সকল সঠিক তথ্য গুলো দিয়ে বাকি ঘরগুলো কমপ্লিট করবেন। পরে দেখতে পারবেন আপনাকে একটি QR কোড দেওয়া। হবে তার জন্য আপনাকে এনআইডি ওয়ালেট নামে একটি অ্যাপ আপনার মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে এবং ওইটাতে যা যা বলা আছে আপনি নির্দেশনা মেনে এনআইডি কার্ডটা স্ক্যান করলেই আপনার অ্যাকাউন্ট কমপ্লিট হয়ে যাবে।
- তার পরবর্তী সময়ে যদি আপনি কোনদিন এই ওয়েবসাইটে ঢুকেন তাহলে আপনাকে আর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না আপনি সোজা লগইন এ ক্লিক করবেন। এবং সেখানে আপনার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর নম্বর ইত্যাদি দিয়ে লগিন করে নেবেন।
নতুন আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?
নতুন আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আপনার অবশ্যই 18 বছর বয়স হতে হবে। যাদের বয়স এখন পর্যন্ত 18 হয়ে গেছে তারা একমাত্র নতুন আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবেনা। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে নতুন আইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করবেন-
- প্রথমেই আপনাকে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে “নতুন নিবন্ধন” এই জায়গাতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনাকে বিস্তারিত কিছু ইনফরমেশন বা তথ্য দেওয়া হবে। সে তথ্য গুলো ভালভাবে পড়বেন কারণ সেই তথ্যগুলো পড়ার কারণে আপনার আইডি কার্ড পেতে কোন ধরনের সমস্যা থেকে সতর্ক থাকবেন।
- তারপরে নিচের দিকে দেখবেন লেখা আছে “আমি রাজি নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে চাই” এই লেখাটির উপর ক্লিক করার পরে আপনাকে আপনার বিভিন্ন ধরনের সঠিক ইনফরমেশন দেওয়ার জন্য বলবে। তার ধারাবাহিকতা অনুযায়ী আপনি এই ফর্মটা পূরণ করে দিলেই হবে। আপনি যে আবেদন করেছেন তার জন্য আপনাকে কি প্রমাণ স্বরূপ পিডিএফ ফাইল দিতে পারে। সে পিডিএফ ফাইলটি আপনি পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে আপনার আইডি কার্ড টা দিয়ে দেবে।
আপনার নতুন আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র কিভাবে দেখবেন
আপনারা যারা নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের আইডি কার্ড কিরকম হয়েছে তা আপনারা আগেই দেখতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আপনি যখন নতুন আইডি কার্ডের আবেদন করেছিলেন তখন আপনাকে ফরমের নিচের অংশটা ছিড়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষের অংশটুকু দিয়ে আপনি আপনার আইডি কার্ড দেখতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে দেখার জন্য আর ডিজিটের একটি নাম্বার লাগবে অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার পেয়ে যাবেন। যে নাম্বারটি দিয়ে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। আপনাকে সেই সেরা অংশটি দেওয়ার পড়ে দেখবেন ওই ফর্মে ফোন নাম্বার দেওয়া আছে। এই ফোন নাম্বারটি ইউজ করে আপনি আপনার আইডি কার্ডটি দেখতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনার আইডি কার্ডটি দেখবেন-
- নতুন আইডি কার্ড বা জাতীয় পত্র দেখার জন্য আপনাকে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইট টি তে যেতে হবে। ওয়েবসাইটটিতে যাওয়ার পর আপনি উপরের দিকে মেনুবারে দেখতে পারবেন “অন্যান্য তথ্য”। এ জায়গাটা ক্লিক করলে আপনি নিচের দিকে একটি লিস্ট দেখতে পারবেন। প্রথমে লেখা আছে “ভোটার তথ্য”। প্রত্যয়ের মধ্যে ক্লিক করতে হবে আপনাকে।
- ভোটার তথ্য এর মধ্যে ক্লিক করার পর আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। সে ফরমের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই যদি আপনি ফর্ম নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার কার্ডটি দেখতে চান তাহলে “ফর্ম নম্বর” এই অপশনটিতে ক্লিক করে দেবেন। আর যদি আপনি এনআইডি কার্ড দিয়ে আপনার আইডি কার্ডটি দেখতে চান তাহলে আপনি এনআইডি কার্ডের নম্বর দেওয়ার জন্য “এনআইডি” নম্বর এই অপশনটি সিলেক্ট করে দেবেন।
- তারপর আপনি যে ফরমটি পূরণ করে দেওয়ার পর নিচে দেখবেন একটি লেখা আছে ওই লেখাটির পাশের বক্সে লিখে দিতে হবে। সম্পূর্ণ ফরমটি পূরণ করার পর আপনি “ভোটার তথ্য দেখুন” বাটনে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর আপনাকে আপনার সকল ইনফরমেশন দিয়ে দেখাবে।
- এই জায়গা থেকেই আপনি আপনার আইডি কার্ড দেখতে পারবেন। আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন এবং আপনি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সব বিষয়ের জন্য আমি আর সুজাতার লিখতেছি না।
কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা আইডি কার্ডের ভুল ত্রুটি সংশোধন করবেন?
আইডি কার্ডের ভুল ত্রুটি গুলো সাধারণত অনলাইনে চেক করা যায় । আইডি কার্ড সংক্রান্ত যত ভুল ত্রুটি আছে সবগুলা অনলাইনে সংশোধন করতে না চাইলে সরাসরি ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে ঠিক করতে হবে। আপনি আপনার আইডি কার্ড এর ভুল ত্রুটি ঠিক করার জন্য ইউনিয়ন অফিসে আবেদন পত্র জমা দেবেন। তারপর ইউনিয়ন অফিস থেকে আপনার আইডি কার্ডের সকল ভুল ত্রুটি যাচাই-বাছাই করে তারা সেগুলা সংশোধন করার চেষ্টা করবে। তবে এর জন্য আপনি সুবিধা অনলাইন থেকে পেতে পারেন। অনলাইন আপনি আপনার আইডি কার্ড সম্পূর্ণভাবে সংশোধন করতে পারবেন।
যদি আপনি সরাসরি আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান ফর্ম নিয়েএর জন্য আপনাকে প্রথমেই নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইট এ যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে উপরের দিকে দেখবেন “ডাউনলোড” এর একটি অপশন আছে। ডাউনলোড এ ক্লিক করার পর আপনি নীচের দিকে দেখতে পারবেন “আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম” এই জায়গাটিতে ক্লিক করবেন। এই জায়গা থেকে করার পর আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইলে নিয়ে যাবে। সে পিডিএফ ফাইলটি আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন। এ পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে যে কোন দোকান থেকে আপনি প্রিন্ট করে নিয়ে আসতে পারবেন। তারপর সে ফরমটি পুরন করে আপনি আপনার পোস্ট অফিস অথবা ইউনিয়ন অফিসে জমা দিয়ে দেবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধনের জন্য যাচাই-বাছাই শুরু হয়ে যাবে। এবং তার কিছুদিন পরেই আপনার ভুল ত্রুটি সংশোধন হয়ে যাবে। এত ঝামেলা করার চেয়ে আপনি সরাসরি অনলাইনে আপনার সংশোধন ঠিক করে নিতে পারেন।
অনলাইনে কিভাবে আইডি কার্ড সংশোধন করবেনঃ
- অনলাইনে আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখান থেকে পূর্বের রেজিস্ট্রেশন স্টেপ অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করবেন। সেখান থেকে লগইন করার পর আপনার প্রোফাইল দেখতে পাবেন। তার ডানে উপরের দিকে দেখতে পারবেন একটি “এডিট” বাটন আছে।
- “এডিট” বাটনে ক্লিক করার পর আপনি আপনার সকল প্রকার তথ্য পরিবর্তন করে বসিয়ে দিবেন। পাশে একটি টিক মার্ক দেওয়া বক্স পাবেন সেখানে টিক মার্ক দিয়ে দিবেন তথ্য পরিবর্তন করার পর। এবং এ পরিবর্তনের জন্য আপনার কিছু ট্রানজেকশন ফি দিতে হবে। তার সকল প্রকার বিস্তারিত আপনি সেই পেজটিতে পাবেন।
ট্রানজেকশন ফ্রি কিভাবে দেবেনঃ
আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা ফি দিতে হবে। না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে পরবর্তী ধাপে যেতে দেওয়া হবে না। চলুন জানা যাক কিভাবে দেবেন উত্তর টাকা-
- আপনার পছন্দমত যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং সফটওয়্যারে “পে বিল” অপশনটিতে ক্লিক করার পর 1000 লিখে সার্চ করবেন। “EC Bangladesh” একটি অপশন আসবে। অপশনটি সিলেক্ট করে আপনার এনআইডি নাম্বার টি দিন। এরপর আপনার এনআইডি কার্ডের নাম্বার এর জন্য উল্লেখিত টাকা কেটে নেওয়া হবে।
- তারপর আপনি “Application Type” এর উপর ক্লিক করুন। এখানে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু লিখুন। সকল তথ্য দেওয়ার পরে আপনি “Validate” অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপরে ওকে চাপুন এবং তার সাথে আপনাকে একটি বক্স দেওয়া হবে সেখানে আপনার নামের শরট ফর্ম টি লিখুন। আপনাকে কত টাকা পাঠাতে হবে সে বিষয়ে হত আপনি চিন্তায় আছেন। আপনাকে এখানে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে কত টাকা পে করতে হবে।
- তারপর আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আপনি আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের পিন নাম্বারটি দিয়ে টাকাটা পাঠিয়ে দিন। টাকা পাঠানোর পরে আপনাকে একটি রিসিট দেওয়া হবে সেটি আপনার কাছে রাখবেন।
- এখন পেজটির রিলোড হবার পর টাকা প্রদর্শিত হবে। এখান থেকে আপনি নেক্সট এ ক্লিক করার পরে আপনার তথ্য সংগ্রহের জন্য ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনার এন আইডি কার্ডে আপনি যে তথ্যগুলো দেখতে চান সেই তথ্যগুলো আপনার অন্য কোন সার্টিফিকেট অথবা জন্ম নিবন্ধন এর যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনি সেটি দিয়ে দিন। তারপরে নেক্সট এ ক্লিক করুন। সেখান থেকে আপনি একটি পিডিএফ ফাইল পাবেন সেটি ডাউনলোড করে আপনার কাছে রাখুন।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড কিভাবে করবেন?
বর্তমান সময়ে স্মার্ট কার্ড একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বা আধুনিক যমুনার প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেতে পারেন আগামী ভবিষ্যতে। আপনাদের মধ্যে এখনও যাদের আইডি কার্ড আগের মত হয়ে আছে বা স্মার্ট কার্ড তুলে নিও তারা অনলাইনে সহজে স্মার্ট কার্ড কিভাবে তুলবেন, কোন জায়গায় গেলে তুলতে পারবেন, কত টাকা খরচ হবে ইত্যাদি সকল বিষয় জানতে পারবেন। এমনকি আপনারা যারা নতুন আইডি কার্ডের জন্যে এপ্লাই করেছেন তারাও চাইলে সরাসরি স্মার্ট কার্ড তুলে নিয়ে আসতে পারবেন।
- তার জন্য আপনাকে প্রথমেই যেতে হবে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ ওয়েবসাইট। উপরের মেনু থেকে “অন্যান্য তথ্য” এই অপশনটিতে ক্লিক করে দেখতে পারবেন তিন নম্বর অফারটিতে “স্মার্ট কার্ড বিতরণের তথ্য” একটি অপশন রয়েছে। এই অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে একটি ফর্ম দেওয়া হবে যেখানে আপনার আইডি কার্ডের নম্বর এবং জন্মতারিখ দিতে হবে। তার নিচে একটি ক্যাপচা দেওয়া হবে পাশের লেখাটা ভালোভাবে বুঝে ক্যাপচাটি পূরণ করে দিলেই ফরমটি পূরণ হয়ে যাবে। এরপর নিচের দিকে “ভোটার তথ্য দেখুন” অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে সকল প্রকার তথ্য দেওয়া হবে।
আইডি কার্ড নিয়ে শেষ কথাঃ
বর্তমান সময়ে আইডি কার্ড আমাদের মূল্যবান সম্পদ হিসেবে ধরতে পারেন। এটি তারা আমাদের রাষ্ট্রীয় পরিচয় প্রকাশ পায়। আমরা যে একটি দেশের নাগরিক তার প্রমান। প্রমাণ সময় এর প্রমাণ প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দিতে হয়। আইডি কার্ড ছাড়া আপনি চলাফেরা বা কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন কাজ করার আশায় করতে পারবেন না। এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র আপনি যে জায়গাতে যান না কেন ধরেন আপনি বিবাহ করবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র দিতে হবে। অথবা ধরেন আপনি কোন চাকরি করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে।
এছাড়াও বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ব্যাংক একাউন্ট, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার জন্য এরকম প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আপনার এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এনআইডি কার্ড আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই এনআইডি কার্ডের যদি ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে সেটা সংশোধনের ব্যবস্থা করবেন আর। যদি কারো এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে খুব দ্রুত একটি এনআইডি কার্ড বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। আইডি কার্ড সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইটে গেলে পাবেন।
আমি এই ব্লগ থেকে যা লিখেছি আপনার অনেক কষ্ট করে পড়েছেন। হয়তো আইডি কার্ড সম্পর্কে আপনাদের অনেকটা ধারণা হয়ে গেছে। তারপরও যদি আপনাদের কোন ধরনের কোন প্রবলেম থাকে তাহলে আপনারা আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন অথবা ইনবক্সে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের প্রবলেম করে আদর করার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ